বনসাই এর জন্য তেমন বড় পাত্র লাগে না। অপেক্ষাকৃত অনেক ছোট পাত্রে বনসাই চাষ করা হয়। বনসাই এর টব বা পটের নিচে পানি নিষ্কাশন এর জন্য ছোট ছিদ্র থাকতে হয়।
ধাপসমূহ : কাণ্ড, শেকড়, শাখা-প্রশাখা ও পাতা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। টবের ছোট গাছে বয়োবৃদ্ধ গাছের ভঙ্গিমা আনার চেষ্টা করতে হবে। বনসাইকে যে মডেলের রূপ দেওয়া হবে তা স্থির করে শাখা বাছাই করতে হবে। জোড়া পাতার কক্ষ থেকে কাণ্ডের দু’পাশের দু’টি শাখা গজায়। বাছাই পদ্ধতি অনুসারে এর একটি রাখতে হবে। কুঁড়িভাঙা চারাকে অতিমাত্রায় বেঁটে করে রাখতে ও ঝোঁপালো করতে কুঁড়ি বা পত্রমুকুল ভেঙে দিতে হয়। ক্ষুদে বনসাইয়ের বেলায় তা করতে হয় বা নিরস্তর। কারণ, সবসময় বাড়ন্ত ডগা মাত্র দু’টি পাতা রেখে কেটে দিতে হবে। কুঁড়িভাঙার প্রধান উদ্দেশ্য হলো নিচের পাতার কাঙ্ক্ষিতকুলকে বাড়তে বাধ্য করা। কারণ ওগুলো বাড়লে গাছের শাখার সংখ্যা বেড়ে গাছ ঝোঁপালো হবে।
শাখা বাছাই : বনসাইকে যে মডেলের রূপ দেয়া হবে তা স্থির করে শাখা বাছাই করা দরকার। জোড়া পাতার কক্ষ থেকে কান্ডের দু’পাশে দু’টি শাখা গজায়। বাছাই পদ্ধতি অনুসারে এর একটিকে রাখতে হবে। নিচেরটি ডানদিকে রাখলে তার ওপরেরটি বামদিকে রাখতে হবে। আসলে বনসাইয়ের কাণ্ডের রূপ সামনের দিকে কোন শাখা থাকবে না। থাকবে কেবল ডান ও বাম দিকে এবং পেছনে কাণ্ডের মাথার দিকেও শাখা থাকতে হবে।
শাখা ছাঁটাই : প্রায়শই বনসাইয়ের বয়স ৩-৪ বছর হলে তখন প্রুনিংয়ের প্রয়োজন হয়। বাছাই করা মোটা শাখাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটতে হয়। এর জন্য যে অস্ত্রটি ব্যবহার করা উচিত তার নাম কনকেভ কাটিং প্লায়ারস এর কাটার ধরন পৃথক। কাটার স্থানের চারদিক থেকে ছাল বেড়ে তাড়াতাড়ি তা ঢেকে দেয়। বন সাই পরিচর্যার জন্য স্পেশাল যন্ত্রপাতি পাওয়া যায শুধুমাত্র সেই গুলিই ব্যবহার করুন।
তার বাঁধা : কাণ্ড বা শাখাকে সুন্দর, সুঠাম ভঙ্গিমায় আনতে যেসব কৃত্রিম উপায় অবলম্বন করা হয় তার বাঁধা তাদের মধ্যে অন্যতম। সরল শাখায় তার জড়িয়ে আঁকাবাঁকা রূপ দেয়া যায়। কাণ্ডের জন্য মোটা তার ও শাখার জন্য সরু তার প্রয়োজন। সাধারণত এজন্য তামার তার অথবা এলমুনিয়ামের তার ব্যবহার করা হয়। মনে রাখা দরকার, তার জড়ানোর ফলে গাছ বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক দিন তার পেচিয়ে রাখলে গাছের ডাল মোটা হয়ে তার ভিতরে ঢুকে যেতে থাকে। ফলে গাছের সুন্দর্য নষ্ট হয়। তাই তার পেচিয়ে রাখার নির্দিষ্ট কোন সময় নাই। যখনই তার গাছের বাকলের ভিতর ঢুকে যেতে চাইবে তখনই তার খুলে দিতে হবে এবং কিছু দিন পর উল্টাভাবে আবার পেচাতে হবে। এভাবে ধিরে ধিরে গাছ নির্দিষ্ট আকৃতিতে রূপ নিবে।
(সংগ্রহিত)